পড়ালেখার পাশাপাশি অনলাইনে টাকা ইনকাম করার সহজ উপায়
প্রাইভেট টিউটর (গৃহ শিক্ষক) - এই নামটির সাথে অনেকের পরিচয় না থাকেলেও টিউশনি র সাথে সবার ই পরিচয় আছে। আপনি একজন শিক্ষার্থী হওয়ার পাশাপাশি এই কাজটি খুবই ভালভাবে করতে পারবেন। এতে করে আপনার নানান পড়াশুনা বিষয়ের উপর চর্চাও থাকবে, যা আপনার সামনের জীবনে অনেক কাজে লাগবে। প্রাইভেট টিউটর শুধু অন্যের সুবিধা না যেমন আপনি ছোটদের পড়াচ্ছেন তাদের সাথে সাথে আপনারও সেই বিষয়ের প্রতি অভিজ্ঞতা অর্জন হচ্ছে। এটি আপনার ভবিষ্যতের চাকরির পরীক্ষায় যেমন কাজে দেবে তেমনি আপনার জ্ঞানকে আরও মজবুত করতে সাহায্য করে।
পার্ট-টাইম (খণ্ডকালীন) চাকরি - অনেক ছোট ছোট বেতন এর পার্ট-টাইম চাকরি আছে যা খুবই সল্প সময়ের হয়ে থাকে। আপনি পড়াশুনার পাশাপাশি এই কাজটি সাজসন্দে করতে পারবেন। পার্ট টাইম চাকরি করেও আপনি আপনার পড়ালেখা চালিয়ে যেতে পারবেন তবে চাকরির পাশাপশি পড়ালেখা করা সবার জন্য সহজ নয়। আপনি যদি কঠোর পরিশ্রম করতে পারেন তাহলে পার্ট টাইম চাকরি করে আপনি পড়ালেখা করতে পারবেন। পার্ট টাইম চাকরি বলতে সাধারণত ৪-৮ ঘণ্টার কাজ হয়ে থাকে।
ফ্রিল্যান্সিং - একজন শিক্ষার্থী হিসেবে আপনার জন্য সবথেকে ভাল অর্থ উপার্জন এর উৎস হবে ফ্রিলান্সিং করা। অনেক অল্প বয়সী ছেলে-মেয়ে এই কাজ শিখে এখন তারা প্রতিষ্ঠিত। কারন, আপনি ফ্রিলান্সিং করতে পারলে একটা সময়ে এসে অনেক অর্থ উপার্জন এ সক্ষম হবেন। ফ্রিল্যান্সিং একটু মুক্ত পেশা যার সাহায্যে আপনি মাসে লাখ লাখ টাকা উপার্জন করতে পারবেন তবে এটি এতটা সহজ নয় কারণ এর জন্য প্রয়োজন গভীর অধ্যাবসায় পাশাপশি অনেক দক্ষতার প্রয়োজন যেমন: ডিজিটাল মার্কেটিং, ডাটা এন্ট্রি, ভিডিও এডিটিং ইত্যাদি। ফ্রিল্যান্সিং যেমন কঠিন তেমন এর থেকে উপার্জনের সম্ভাবনাও বেশি। বাংলাদেশে এখনো অনেক ফ্রিল্যান্সার রয়েছে যারা প্রতি মাসে ১০-২০ লাখ টাকা উপার্জন করে থাকে।
অনলাইনে ট্রেডিং করা - অধিকাংশ লোকই আমার সাথে এই ব্যপারে এক মত হবে না। তবে এই কাজের জলজ্যান্ত প্রমান আমি নিজেই। আমি ২০১৮ থেকে অনলাইন ট্রেডিং করা শুরু করি। তখন, ১০ ডলার এর মত দিয়ে শুরু করে এখন আমার আমাউন্ট প্রায় ২০০ ডলার এর মত। আমি কোনও সময় এ বলব না যে আমি শুধুই লাভ করেছি, তবে কঠোর পরিশ্রম ও সময় মত দক্ষতার পরিচয় দিয়ে আমি এই অবস্থান তৈরি করেছি। যদি আপনাদের মনে হয়ে যে আপনারা পড়াশুনার পাশাপাশি করতে পারবেন তাহলে আপনি ফরেক্স ট্রেডিং শুরু করে দিতে পারেন। বিদ্র: এটি কপি করা। অনলাইনে ট্রেডিং না করায় ভালো। এটি বাংলাদেশে অবৈধ ।
পিকোওয়ার্কার: পিকোওয়ার্কারে কাজ করতে পারেন আপনি যদি পড়ালেখার পাশাপাশি আপনার হাতখরচের টাকা উপার্জন করতে চান তাহলে আপনার জন্য পিকোওয়ার্কার একটি মাধ্যম হিসেবে থাকতে পারে। বাংলাদেশ সহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অনেক মানুষ ছোট ছোট কাজ করে অর্থ উপার্জন করে। আপনার যদি একটি অ্যান্ড্রয়েড ফোন থাকে আপনিও সহজে এখানে একাউন্ট তৈরি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। কাজ গুলো খুবই সহজ হওয়ায় তেমন কোনো অভিজ্ঞতার প্রয়োজন পড়ে না । আপনি ইউটিউবে এ সম্পর্কে অনেক ভিডিও পাবেন সেগুলি দেখে সহজেই শিখতে পারবেন।
ফাইভার: এটি একটি ফ্রিল্যান্সিং এর জনপ্রিয় মাধ্যম। আপনার বিভিন্ন দক্ষতা শেয়ার করে বিভিন্ন কোম্পানির লোকদের দৃষ্টি আকর্ষন করে তাদের কাছ থেকে অর্ডার নিয়ে অর্ডার সম্পূর্ণ করে জমা দিতে পারলেই আপনার টাকা আপনার একাউন্ট এ চলে আসবে। ফাইভার এ কাজ করতে অভিজ্ঞতার প্রয়োজন হয়। দক্ষতায় সাফল্যের মূল এটি মনে রাখতে হবে।
রিসেলার: বিভিন্ন কোম্পানি তাদের প্রোডাক্ট বিক্রি করার জন্য রেসেলের ব্যাবস্থা করে থাকে। রেসেলার হলো আপনি কোনো একটি কোম্পানির প্রোডাক্ট আপনার আমানতে বিক্রি করে দেবেন এতে আপনার কোনো ইনভেস্ট করতে হবে না। আপনি শুধু অর্ডার নিয়ে তাদের দিবেন তারা সম্পূর্ণ কাজ কমপ্লিট করে আপনার ভাগের টাকা আপনাকে দিয়ে দিবে। বাংলাদেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় resellar প্ল্যাটফর্ম হলো শপ আপ রিসেলার আরও পড়ুন আপনার রিসেলার সম্পর্কে ভালো জ্ঞান থাকলে আপনি মাসে ১০-২০ হাজার টাকা অনায়াসে আয় করতে পারবেন।
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং:
অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে আপনি ঘরে বসে মাসে দশ- বিশ হাজার টাকা উপার্জন করতে পারবেন তবে এটি সহজ কাজ নয় আপনার ভালো ধারণা থাকতে হবে সোসিয়াল মিডিয়া মার্কেটিং সম্পর্কে। আপনার দক্ষতা ভালো থাকলে আপনি এর থেকেও বেশি উপার্জন করতে পারবেন এতে কোনো সন্দেও নেই।