পরীক্ষার হলে দেখে লেখার কিছু কার্যকরী টিপস এবং শর্ত; পরীক্ষার হলে দেখে লেখার নিয়ম
পরীক্ষার হলে দেখে লেখার টিপস
১. যার খাতা থেকে দেখে লিখবেন আপনার লেখার গতি তার চাইতে ফাস্ট হইতে হবে। নইলে বাদ দেন। আপনারে দিয়ে হবে না। উলটা আপনার জন্যে আরেকজনের পরীক্ষা খারাপ হবে।
২. যার খাতা দেখবেন পরীক্ষার হলে গিয়েই তার সাথে ভালো সম্পর্ক করে নেবেন। সে যদি বন্ধু না হয়, তাকে বন্ধু বানাবেন। এক্ষেত্রে ইগো মারাইলে হবে না। সিগারেট খাইলে সিগারেট খাওয়াবেন। না খাইলে কোক বা চকলেট হাবিজাবি যা পারেন অফার করবেন।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়..
বিলাসী গল্পের বহুনির্বচনী পরীক্ষা..
বাংলা প্রথম পত্র mcq পরীক্ষা...
৩. যার থেকে দেখতেছেন সে যদি আপনার সামনে বসে তাহলে উঁকি ঝুঁকি মাইরা দেখতে যায়েন না। তারে বলবেন যেনো সে অল্প বাঁকা হয়ে লেখে। আপনি পেছন থেকে আইডিয়া নেবেন। আর যদি পেছনে বসে তাহলে ঘাড় অল্প ঘোরালেও দেখা যায় তার পজিশন এমনভাবেই সেট করে দেবেন বেঞ্চ এদিক ওদিক করে।
পরীক্ষার হলে কিভাবে দেখে লেখবেন
৪. দেখাদেখির জন্য যদি টিচারের কাছে ধরা খান, বুঝে নেবেন আপনি এই জগতে অ্যামেচার। গার্ডের ঝামেলা এড়াতে যতটুকু না অন্যের খাতার দিকে তাকাবেন তারচে বেশি তাকাবেন টিচারের দিকে। তার মুভমেন্ট বোঝার ট্রাই করবেন। কীভাবে গার্ড দিচ্ছে, কোথায় কতক্ষণ থাকতেছে, কীভাবে তাকাচ্ছে, অ্যাপ্রোচ কী এগুলি বোঝার চেষ্টা করবেন। এক কথায় তার মাইন্ডটা রিড করতে যা যা খেয়াল করা লাগে করবেন।
৫. গার্ড যদি আপনার দিকে তাকায় থাকে তাহলে হুদাই খাতার উপর কলম ঘোরাতে থাকবেন। কিছু লিখতে হবে না। লিখতেছেন এমন ভং ধরবেন। আর ওই সময় তার দিকে ভুলেও তাকাবেন না।
পরীক্ষায় অন্যের খাতা দেখে লেখার নিয়ম
৬. যার খাতা দেখবেন তার সাথে অবশ্যই না পারতে কথা বলবেন না। যতটা সম্ভব মুখ বন্ধ রাখবেন। তাকে ডিস্টার্ব করবেন না। তার বানান টানান ভুল হইলে, হিসাবে গড়মিল হইলে ধরায় দিবেন। এতে সে বুঝবে আপনি ঢেরস না। কিছুটা হলেও কাজে লাগেন।
৭. টিচার খাতা নিয়া গেলে ভুলেও তার সাথে ঘোঙাবেন না। তারেইরিটেট করলে খাতা পাইতে দেরি হবে। তারচে বরং ওই সময় বাথরুমে যান। ইউজুয়ালি সেখানে অনেক গুপ্তধন রাখা থাকে। ওরকম থাকলে দেখে আসবেন। আশেপাশে যারা লিখতেছে তারা কী লিখতেছে আইডিয়া নিতে থাকবেন যেনো পরে লিখতে পারেন। ম্যাথ হইলে প্রশ্নে করে রেখে দেবেন দেখে দেখে। পরে যাতে বিপদে পড়া না লাগে।
পরীক্ষায় পাশ করার উপায়
৮. অবশ্যই এবং অবশ্যই মাস্ক পরার চেষ্টা করবেন। মাস্কের সুবিধার কোনো কূলকিনারা নাই। সেইটা গুরুত্বপূর্ণ কথাবার্তা বলার সময়ই বুঝবেন।
৯. থিউরি এক্সামের জন্য প্রচুর বানায়া লেখার ক্ষমতা অর্জন করবেন। খালি পয়েন্ট সাপলাই নেবেন, তারপর লিখে ফাটায় ফেলবেন। সবসময় চেষ্টা করবেন যেকোনোভাবে যেনো পয়েন্ট ম্যানেজ করা যায়। খাতা খালি রাখা যাবে না।
১০. খবিশের মতো আচরণ করবেন না। যার থেকে দেখবেন তারেও মাঝেমধ্যে এদিক ওদিক থেকে এটা ওটা এনে দেয়ার ট্রাই করবেন। পারস্পরিক সমঝোতার ভিত্তিতে এক্সাম দেবেন। ভ্রাতৃত্ব গড়ে তুলবেন।
অন্যের খাতা দেখে পাশ করার উপায়
১১. ল্যুজ পেপার নেয়ার ট্রাই করবেন। যে আপনারে দেখাচ্ছে সে যদি অন্য লেখা শুরু করে দেয় তো জায়গা রেখে ল্যুজে লেখা শুরু করবেন। আহাম্মকের মতো বসে বসে সিনেমা দেখবেন না। মোটকথা কোনোভাবেই সময় নষ্ট করা যাবে না।
১২. ম্যাথের অপশন থাকলে অবশ্যই ম্যাথ দেয়ার ট্রাই করবেন। থিউরি লেখার চাইতে ম্যাথ সর্বদাই বেটার অপশন। সময় কম লাগে প্লাস দেখাও সহজ। স্ট্রাকচারটা ঠিক করে রাখবেন। পরে কেবল ডিজিট বসাইতে থাকবেন আল্লার নামের উপর দেখে দেখে। গার্ডের চোখে কালার হওয়া থেকে বাঁচতে হুদাই ক্যালকুলেটর নিয়ে গুতাগুতি করবেন। তাকে বুঝতে দেয়া যাবে না আপনি কোনো বাল্টাও পারেন না।
আরও আছে,
পরে বলবো আমি এই বিষয়ে অত্যান্ত দক্ষ হয়ে গিয়েছি
আপনারাও ফলো করুন আস্তে আস্তে হয়ে যাবেন।
পরীক্ষায় ভালো রেজাল্ট করার উপায়
এসব নিয়ম মেনে চললে সহজেই পাশ করতে পারবেন। তবে খেয়াল রাখবেন আপনার শিক্ষক যেনো দেখে না ফেলে। সবসময় সাবধান থাকুন।
বিশেষ দ্রষ্টব্য: এটি শুধু একটি মজার বিষয়। ভুল করেও এসব কাজ করবেন না । এতে আপনার ক্ষতি।