স্ত্রীর বুকের দুধ পান করে ফেললে কি স্বামীর জন্য স্ত্রী হারাম হয়ে যায়? | স্ত্রী মিলনের সময় উত্তেজনার বশে যদি স্ত্রীর দুধ স্বামী খেয়ে ফেলে তবে স্ত্রী কি স্বামীর জন্য হারাম হবে?

 

স্ত্রীর বুকের দুধ পান করে ফেললে কি স্বামীর জন্য স্ত্রী হারাম হয়ে যায়? | স্ত্রী মিলনের সময় উত্তেজনার বশে যদি স্ত্রীর দুধ স্বামী খেয়ে ফেলে তবে স্ত্রী কি স্বামীর জন্য হারাম হবে?


স্ত্রীর দুধ খাওয়া সম্পর্কে ইসলাম কি বলে:


দৈনন্দিন জীবনে কিছু গুরুত্তপূর্ণ প্রশ্ন ও উত্তর:

১) স্ত্রী মিলনের সময় উত্তেজনার বশে যদি স্ত্রীর দুধ স্বামী খেয়ে ফেলে তবে বিবাহের কোনাে ক্ষতি হবে? 

২)স্বামীর উপর কোনাে কাফফারা ওয়াজিব হবে? 

৩)স্ত্রীর দুধ কি স্বামীর জন্য হারাম?


 উত্তর : না, বিবাহের কোন ক্ষতি হবে না, স্ত্রী স্বামীর উপর হারাম হবে না। কোন কাফফারাও ওয়াজিব হবে না। তবে অবশ্যই তওবাইসতিগফার করতে হবে।আর কিছু সাদাকা করলে ভাল হবে।। তদুপরি স্ত্রীর স্তন চোষার ফলে যদি দুধ বেরিয়ে মুখে চলে আসে তাহলে সে দুধ গলায় বা "খাদ্যনালী"তে যাওয়ার পূর্বেই ফেলে। দিতে হবে, যেহেতু স্ত্রীর দুধ পান করা স্বামীর জন্য হারাম। তাই একা থেকে বিরত থাকা অপরিহার্য। কারণ, দুধ পানের বয়স সীমাতে দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক স্থাপন হয়। এর পর দুধ পান করলে দুধ মায়ের সম্পর্ক হয় না, ঐ মহিলাও হারাম বা তালাক হয়না। 



স্ত্রীর দুধ কি স্বামীর জন্য হারাম?


 তাই স্বীয় স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা স্ত্রী স্বামীর জন্য হারাম হয় না,

তালাক হয় না। কিন্তু দুধ পানের বয়স সীমার পর কোন মহিলার এমনকি নিজ স্ত্রীর স্তনের দুধ পান করা হারাম ও মারাত্মক গােনাহের কাজ। তবে দুধ পানের বয়স সীমার ভেতরে যেসব নারীর দুধ পান করা হয়, জন্মধাত্রী মা না হলেও বিবাহ হারাম হওয়ার ব্যাপারে। জননীর পর্যায়ভূক্ত এবং তাদের সাথে বিয়ে হারাম। অল্প দুধ পান করুক বা বেশী, একবার পান করুক বা একাধিকবার, সর্ববস্থায়। তারা হারাম হয়ে যায়। ফিকাহবিদগণের পরিভাষায় একে "হুরমত রেহাআত”বলা হয়। তবে এতটুকু স্মরণ রাখা জরুরী যে, দুধ পানের বয়স সীমাতেই কেবল দুধ পান করলে এই "হুরমতে রেযাআত" কার্যকারী হবে।



দেখুন : এসম্পর্কে মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন

وأمهاتكم اللاتي أرضعتكم وأخواتكم من الرضاعة النساء : ۲۳

অর্থ : তােমাদের জন্য হারাম করা হয়েছে সে সব মাতাগণকে; যারা তােমারেদকে স্তন্যপান করিয়েছে, তােমাদের দুধ বােন........ (সূরা নিসা-২৩)। সহীহ বুখারীর বর্ণনায় এসেছে

عن ابن عباس رضي الله عنهما، قال: قال النبي صلى الله عليه وسلم في بنت حمزة: «لا تجل لي، يخرم من الرضاع ما يخرم من النسب، هي

 হযরত ইবনে আব্বাস (রা) হযরত হামজা (রা) এর কন্যাকে বিবাহের বিষয়ে রসুল (সা)-কে জিজ্ঞাসা করলে তিনি বলেন, তাকে বিবাহ করা তােমার জন্য বৈধ না। কেননা দুধ পান করার দ্বারা যেমন বিবাহ হারাম। হয়, তেমনি বংশের কারণেও হারাম হয়, আর হামজা (রা) এর কন্যা তােমার দুধ বােন। বুখারী-৩/১৭০, হাদীস-২৬৪৫। মহান আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কোরআনে বলেন,

والوالدات يرضعن أولادهن حولين كاملين لمن أراد أن يتم الرضاعة

- البقرة : ۲۳۳

অর্থ : আর সন্তানবর্তী নারীরা তাদের সন্তানদেরকে পূর্ণ দু'বছর দুধ খাওয়াবে, যদি দুধ খাওয়াবার পূর্ণ মেয়াদ সমাপ্ত করতে। চায়। সূরা বাকারা-২৩৩। হাদীসে উল্লেখ রয়েছে, 



স্ত্রীর দুধ পান করলে স্ত্রী কি স্বামীর জন্য হারাম হবে?


রসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেন : দুধ পানের কারণে যে অবৈধতা প্রমাণিত হয়, তা সে সময়ে দুধ পান করলে হবে, যে সময় দুধ পান করে শিশু শারীরিক দিক দিয়ে বর্ধিত হয়। (বােখারী ও মুসলিম)

عن ابن لعبد الله بن مسعود، أن رجلا كان معه امرأته وهو في سفر فولدث فجعل الصبي لا يمض فأخذ زوجها يمص لبنها ويمجه حتى وجد طعم لبنها في خلقه فأتی أبا موسى فذكر ذلك له فقال " خرمت عليك أمرأتك ", فأتى ابن مسعود فقال: أنت الذي ثفتي هذا بكذا وكذا

وقد قال رسول الله صلى الله عليه وسلم: "لا رضاع إلا ما شة العظم

وأثبت اللحم


আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর ছেলে থেকে বর্ণিত, 

একদা এক ব্যক্তি তার স্ত্রীকে নিয়ে সফরে বের হলেন। আর ঐ সফরের মাঝে তাদের একটি সন্তান জন্ম নেয়। ঐ সন্তান দুর্বল। হওয়ার কারণে তার মায়ের দুধ পান করার মত শক্তি ছিল না। অতঃপর স্বামী তার স্ত্রীর দুধ চোষন করে সন্তানের মুখে দিতেন। এভাবে চোষন করতে গিয়ে স্বামী তার স্ত্রীর দুধ পান করার স্বাদ অনুভব করেন। সফর থেকে ফিরে আসার পর এ ঘটনা হযরত আবু মুসা ! -কে বর্ণনা করলেন, হযরত আবু মুসা (রা)বললেন,


 তােমার স্ত্রী তােমার উপর হারাম হয়ে গিয়েছে! অথাৎ বিবাহ সম্পর্ক বিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে। ঐ লােকটি পুনরায় হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর কাছে এসে আবু মূসা ; এর উক্ত ফাতওয়াটি বর্ণনা দিলে তিনি বলেন, কি করে তার স্ত্রী তার জন্য হারাম হবে? অথচ রসুল (সা) বলেছেন-

প্রাপ্ত বয়স্ক হওয়ার পর দুধ পান করার দ্বারা কোন সমস্যা হয় না। (আস সুনানুল কোবরা লিল বায়হাকী)। 


(মুলকথা- হযরত আবু মূসা এর এর মতটির উপর ফাতওয়া নয়, হযরত আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ (রা)

এর ফাতওয়াটিই ছিল সঠিক অর্থাৎ স্বামী স্ত্রীর দুধ পান করার দ্বারা তাদের সম্পর্কের মাঝে কোন সমস্যা হবে না, কেননা শিশু বয়সে দুধ পান করার দ্বারা বিবাহ নিষিদ্ধ হয়, প্রাপ্ত বয়সে নয়।) অন্য একটি বর্ণনায় আছে, এর পর থেকে কখনাে হযরত আবু মুসা কোন মাসয়ালা জিজ্ঞাসা করা হলে তিনি বলতেন, তােমাদের মাঝে রয়েছে হিবারগণ তথা আব্দুল্লাহ ইবনে মাসউদ এর ন্যায় সাহাবীগণ, তােমরা তাদের থেকে জিজ্ঞাসা কর। এই হাদীসটির কয়েকটি সনদে বর্ণিত হয়েছে, হাদীসটি হাসান তথা প্রমাণযােগ্য, আর তাছাড়াও এর সমর্থনে কোরআন ও অন্য অন্য হাদীসেও রয়েছে। পক্ষান্তরে এর বিরােধী কোন বর্ণনা। পাওয়া যায় না।



স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধপান করা জায়েজ হবে কিনা?


একমাত্র সন্তান তার মায়ের দুধ খেতে পারবে । তাই সহজ ভাবে বলতে গেলে স্বামীর জন্য স্ত্রীর দুধপান জায়েজ নয়।



Copyright ©️ All Social Education


Md. Bisshas Prodhan

Hello! My name is Md. Bisshas Prodhan. I am a student and sometimes I was writing blog. My site newsroms24.blogspot.com . If you want a professional content writer please contact me.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

ad