খৎনা কেনো করা হয়; খৎনা করার উপকারিতা কী; ছেলেদের খৎনা কেন করা হয়?

 


খৎনা কেনো করা হয়; খৎনা করার উপকারিতা কী; ছেলেদের খৎনা কেন করা হয়?


খৎনা বা সারকামসিশন (Circumcision) পুংলিঙ্গের ঠিক ততটুকুই অংশ সরিয়ে ফেলা হয়, যতটুকু অংশে মূত্রের ছিটেফোঁটা জমে থাকতে পারত এবং যার দরুন মূত্রনালির ইনফেকশনের রিস্ক অনেক বেশি বেড়ে যেত।


বয়স হলে ম্যাক্সিমাম যুবক, পুরুষের ক্ষেত্রেই মূত্রনালির ইনফেকশন দেখা যেত এক সময়, যার কারণ ছিল সারকামসিশন না করানো। তাছাড়া ঐ চামড়াটুকু এন্টারকোর্সের সময় জীবাণুও ছড়াতে সাহায্য করে।


মূত্রত্যাগের পরে পানি দিয়ে পরিস্কার না করলেও মূত্রনালির ইনফেকশন দেখা দিতে পারে। যা খৎনা করানোর পরেও ঘটতে পারে।



খৎনা করার উপকারিতা 



সুন্নত বাদ দেই, এমনিই বলিঃ


১. যৌনাঙ্গের ইনফেকশান প্রতিরোধ।

২. মুত্রনালীর ইনফেকশন প্রতিরোধ।

৩. সিফিলিস, গনোরিয়া, এইচআইভি সহ নানান যৌনরোগের প্রতিরোধ।

৪. পুরুষের যৌন সঙ্গমের সময় বৃদ্ধি।

৫. যৌনাঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ।


আমেরিকার কিছু কিছু স্টেটে ছেলে শিশু জন্মানোর পর পরই মেডিকেল কর্তৃপক্ষ খতনা করিয়ে দেয়। এটা তাদের চিকিৎসার অংশ। এ জন্যে তারা বাবা মার পার্মিশানও নেয় না। বাচ্চা খ্রিষ্টান, হিন্দু, মুসলিম যে ই হোক, তারা এটা করিয়ে দেবেই।


 খৎনা করার উপকারিতা  অনেক; যে কোন যৌনরোগ ও ইউরিনাল ইনফেকশন থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। মুত্রত্যাগে প্রশান্তি আসে। পবিত্রতা রক্ষা হয়। কাপড় নষ্ট হয় না। খতনা না করলে ইউরিন জমে থাকে, যা অনেক রোগের সহায়ক।



খতনার বৈজ্ঞানিক উপকারিতা



পুরুষের খতনাকে আধুনিক স্বাস্থ্যবিজ্ঞানীরা অত্যন্ত স্বাস্থ্যসম্মত বলে মনে করেন। খতনার মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ছত্রাকজাতীয়  (ব্যাকটেরিয়া) রোগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। খতনার প্রধান সুবিধা হলো, 


এর ফলে লিঙ্গের অগ্র ত্বকে যে তরল জমে নোংরা অবস্থার সৃষ্টি করে, তা থেকে রেহাই পেতে পারে। দেড় হাজার বছর আগে মহানবী (সা.) খতনার কথা বলেছেন, ব্যাপক গবেষণা শেষে আজকের আধুনিক বিজ্ঞান স্বীকার করেছে, খতনার ব্যাপক উপকারিতা আছে।


ইসলামিক দৃষ্টিতে খৎনা উপকারিতা


খতনা আমাদের সমাজে মুসলমানি বলে পরিচিত। আমাদের মুসলিম সমাজে এ সংস্কৃতি শত শত বছর ধরে চলে আসছে। এটি একটি মহান সুন্নত। যুগে যুগে বড় বড় নবী-রাসুলও এ সুন্নত পালন করেছেন। সর্বপ্রথম এ সুন্নত পালন করেছেন হজরত ইবরাহিম (আ.)। হজরত সাইদ ইবনে মুসাইয়াব (রহ.) থেকে বর্ণিত,


হজরত ইবরাহিম (আ.) হলেন খতনার সুন্নত পালনকারী সর্বপ্রথম ব্যক্তি। (মুসান্নাফে ইবনে আবি শায়বা, হাদিস : ২৬৪৬৭)



খৎনার সাস্থগত উপকারিতা



খতনার দ্বারা শরীর অধিক পাকপবিত্র ও পরিচ্ছন্ন থাকে। খতনা করালে শিশুদের মূত্রপথের সংক্রমণ প্রতিরোধ হয়। এর ফলে প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, জ্বর, খাবারে অনীহা এবং স্বাস্থ্য ভালো না হওয়া ইত্যাদি রোগ থেকে ঝুঁকিমুক্ত থাকে। প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের ক্ষেত্রে খতনা করালে লিঙ্গের ক্যান্সার প্রতিরোধ হয় ও যৌনবাহিত রোগের ঝুঁকি কমে।


পুরুষাঙ্গের মাথার বাড়তি চামড়ার নিচে এক ধরনের সাদা পদার্থ জমে এবং এটিই পুরুষাঙ্গের ক্যান্সারের জন্য দায়ী। লিঙ্গের মাথায় প্রদাহ, চুলকানি ও জ্বালাপোড়া করলেও খতনা করালে তা সেরে যায়। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার মতে, পুরুষের খতনা এইচআইভি বা এইডস প্রতিরোধে একটি কার্যকর ভূমিকা রাখে, এটি আংশিক সুরক্ষা দেয়। আফ্রিকার যেসব দেশে খতনার হার বেশি, সেসব দেশে এইডসের হার তুলনামূলক কম।



Copyright ©️ All Social Education



Md. Bisshas Prodhan

Hello! My name is Md. Bisshas Prodhan. I am a student and sometimes I was writing blog. My site newsroms24.blogspot.com . If you want a professional content writer please contact me.

إرسال تعليق

أحدث أقدم

ad