উদাহরণসহ বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম:
পরীক্ষা দিতে চাইলে এখানে ক্লিক করুন
বাংলাদেশের ধনী ১০ জন সেরা ইউটিউবার
পরীক্ষায় আসার মতো কিছু শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের নিয়ম দেওয়া হলো:
অ- ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম:
১. মধ্য অ-এর পরে ই বা উ ধ্বনি থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ ও এর মতো হয়।
যেমন: কাকুলি কাকোলি, জলধি → বালোধি, সকরুণ →শকোরুন।
২. মধ্য অ-এর পরের ধ্বনিতে ঋ-কার থাকলে সেই অ ও-রূপে উচ্চারিত হয়।
যেমন: লোকনৃত্য → লোকোনৃততো, উপবৃত্ত → উপোবৃত্তো।
৩. মধ্য অ-এর পরের ধ্বনিতে য-ফলা থাকলে সেই অ-এর উচ্চারণ ও-এর মতো হয়।
8. যেমন : অদম্য → অদোম্মো, অসভ্য অশোভো, আলস্য → আলোশশো। মধ্য অ-এর পরে ক্ষ, ডা-এর দুটো যুক্ত ব্যঞ্জনের যেকোনো একটি থাকলে সেই অ ও-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন: অদক্ষ → অদোকখো, অবজ্ঞা → অবোগৃগী, বিশেষজ্ঞ বিশেশোগুগো। -
৫. মধ্য-অ-এর আগে অ, আ, এ, ও— এই চারটি স্বরধ্বনির যেকোনোটি থাকলে সেই অ ও-রূপে উচ্চারিত হয়।(মধ্য অ উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম)
য- ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম:
১. আদ্য বর্ণে য-ফলা যুক্ত হলে বর্ণটির উচ্চারণে সামান্য শ্বাসাঘাত পড়ে এবং বর্ণটির উচ্চারণ সাধারণত অ্যা-কারান্ত হয়ে থাকে। যেমন: ব্যথা ব্যাথা, ব্যবসায় ব্যাবোশায়, ন্যস্ত → ন্যাতো, ত্যক্ত → ত্যাক্তো।
২. আদ্য য-ফলার সঙ্গে আ-কার থাকলে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জনটি অ্যা-কারান্ত উচ্চারিত হয়। যেমন : ত্যাগ → ত্যাগ, ব্যাখ্যা → ব্যাক্খা, ব্যাকরণ → ব্যাকরোন, ধ্যান → ধ্যান, শ্যামল → শ্যামোল্।
৩. আদ্য য-ফলার পর ই কিংবা ঈ-কার থাকলে য-ফলাযুক্ত ব্যঞ্জন এ-কারান্ত উচ্চারিত হয়। যেমন : ব্যক্তি → বেকৃতি, ব্যতীত → বেতিতো, ব্যথিত বেথিতো, ব্যতিক্রম → বেতিকক্রোম্।
৪. মধ্য ও অন্ত্য য-ফলা ব্যঞ্জনকে দ্বিত্ব করে। যেমন : অধ্যক্ষ ওদ্ধোকখো, কল্যাণ → কোল্লান, গদ্য
→ গোদুদো, বন্য বোন্নো, শয্যা → শোজ্জা। উদাহরণসহ ব ফলা উচ্চারণের নিয়ম।
৫. সংযুক্ত ব্যঞ্জনের সঙ্গে যুক্ত মধ্য ও অন্ত্য য-ফলা অনুচ্চারিত থাকে। যেমন : সন্ন্যাসী → শোন্নাশি, অন্ত্য→ অনুতো, দারিদ্র্য দারিদূদ্রো। ( প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম )
এ- ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম:
১.আদ্য এ-এর পরে অ বা আ-কার থাকলে সেই এ সাধারণত অ্যা-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন : এক → অ্যাক্, কেন → ক্যানো, হেন হ্যানো, তেমন → ত্যামোন্, একা → অ্যাকা।
২. আদ্য এ-এর পরে ঙ বা ং থাকলে সেই এ সাধারণত অ্যা-রূপে উচ্চারিত হয়। যেমন : বেঙ্গমা → ব্যাংগোমা।
৩.আদ্য এ-এর পরে অ, আ, ঙ ইত্যাদি থাকলে এবং তারপরে ই বা উ-কার থাকলে সেক্ষেত্রে এ-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন : একটি → একটি, একটু একটু, একাকী → তেমনি, ভেংচি → ভেংচি, বোমি বেংগোমি। একাকি, তেমনি →
8. এ-কারযুক্ত ধাতুর সঙ্গে আ প্রত্যয় যুক্ত হলে সেই এ-এর উচ্চারণ অ্যা হয়ে থাকে। যেমন : খেলা (খেলু+আ)→ খ্যালা, ঠেলা (ঠেল্+আ) → ঠ্যালা, বেলা (বেল্+আ) → ব্যালা, বেচা (বেচ্+আ) → ব্যাচা, ক্ষেপা (ক্ষেপ্+আ) → খ্যাপা। এ ধ্বনি উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম।
৫. ই-কারযুক্ত ধাতু প্রাতিপদিকের সঙ্গে আ প্রত্যয় যুক্ত হলে সেই এ-এর উচ্চারণ অবিকৃত থাকে। যেমন : শেখা (শিখ+আ)→ শেখা, লেখা (লিখ্+আ)→ লেখা, মেশা (মিশ্+আ) মেশা। ( বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম)
উদাহরণসহ 'ম' ফলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম:
১.শব্দের আদ্য ব্যঞ্জনবর্ণে 'ম' ফলা যুক্ত হলে সাধারণত সেই ম অনুচ্চারিত থাকে।
যেমন: স্মরণ > শরোন, শ্মশান > ঈশান, স্মারক > শীরোক্। শব্দের মধ্যে বা শেষে 'ম' ফলা যুক্ত হলে সংযুক্ত ব্যঞ্জনের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয়ে থাকে।
২. যেমন: ছদ্ম > হৃদদৌ, পদ্ম > পদদৌ, রশ্মি > রোশি।
৩. শব্দের শেষের ‘ম’ ফলাযুক্ত ব্যস্তানের দ্বিত্ব উচ্চারণ হয় না। যেমন: বাগ্মী > বাগ্মি, যুগ্ম > জুগ্মো ।
৪. যুক্ত ব্যঞ্জনবর্ণের সঙ্গে সংযুক্ত ‘ম’ ফলার উচ্চারণ হয় না। যেমন: সূক্ষ্ম > শুক্খো, লক্ষ্মণ > লক্খোন, যক্ষ্মা > জা
৫. ‘ম’ ফলা যুক্ত কতিপয় সংস্কৃত শব্দ রয়েছে, যার বানান ও উচ্চারণ সংস্কৃত রীতি অনুযায়ী হয়ে থাকে। যেমন: কুষ্মাণ্ড > কুশমানডো, স্মিত > স্মিতো, সুস্মিতা > শুসুমিতা। উদাহরণসহ বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম।
প্রমিত বাংলা উচ্চারণ অভিধান | বাংলা উচ্চারণের উদাহরণ ।
নিচে বাংলা উচ্চারণের কিছু উদাহরণ দেওয়া হলো যা বাংলা উচ্চারণের নিয়ম ssc এবং বাংলা উচ্চারণের নিয়ম hsc দের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এছাড়াও চাকরি পরীক্ষার্থীদের জন্য এই বাংলা উচ্চারণের নিয়ম গুলো খুবই উপযোগী।
অ- ধ্বনির শুদ্ধ উচ্চারন:
বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম pdf বাংলা উচ্চারণের নিয়ম pdf প্রমিত বাংলা উচ্চারণের নিয়ম শুদ্ধ বাংলা উচ্চারণের নিয়ম এ ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম অ ধ্বনি উচ্চারণের নিয়ম ব ফলা উচ্চারণের নিয়ম ম ফলা উচ্চারণের নিয়ম য ফলা উচ্চারণের নিয়ম র ফলা উচ্চারণের নিয়ম বাংলা দেশের বাংলা একাডেমী প্রণীত বাংলা উচ্চারণের পাঁচটি নিয়ম। বাংলা উচ্চারণের নিয়ম hsc বাংলা উচ্চারণের নিয়ম pdf download.
Copyright ©️ all right reserved