হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় কি?

 


হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় কি?




হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার ১০টি উপায়:


১)  নিয়মিত ব্যায়াম যেমন বুকডন বা অন্য কোন ব্যায়াম করতে পারেন। যতক্ষণ না শরীর ক্লান্ত হয়ে যায়, অর্থাৎ হস্তমৈথুন করার মত আর শক্তি না থাকে, ততক্ষণ পর্যন্ত সেই কাজ বা ব্যায়াম করুন। গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন। মেয়েদের দিকে কুনজরে তাকাবেন না। তাদের ব্যাপারে বা দেখলে মন আর দৃষ্টি পবিত্র করে তাকাবেন। নিজের মা বা বোন মনে করবেন।



২) বাথরুম শাওয়ার নেয়ার সময় হস্তমৈথুনের অভ্যাস থাকলে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব বাথরুম থেকে বের হয়ে আসতে চেষ্টা করুন।  যখনি মনে সেক্সুয়াল চিন্তার উদয় হবে, তখনই অন্য কিছু নিয়ে চিন্তা করবেন। বন্ধুবান্ধব ও পরিবারের সবার সাথে বেশি সময় কাটান।  ধ্যান বা মেডিটেশন করতে পারেন। যোগ ব্যায়াম করতে পারেন।



৩) যখন দেখবেন খুব বেশি হস্তমৈথুন করতে ইচ্ছে হচ্ছে এবং নিজেকে সামলাতে পারছেন না, বাইরে বের হয়ে জোরে জোরে হাঁটুন বা জগিং করুন।

ভিডিও গেম খেলতে পারেন। এটাও হস্তমৈথুনের কথা ভুলিয়ে দেবে।

হস্তমৈথুনে চরম ভাবে এডিক্টেড হলে কখনোই একা থাকবেন না, ঘরে সময় কম কাটাবেন, বাইরে বেশি সময় কাটাবেন। জগিং করতে পারেন, সাইকেল নিয়ে ঘুরে আসতে পারেন। ছাত্র হলে ক্লাসমেটদের সাথে একসাথে পড়াশুনা করতে পারেন। লাইব্রেরি বা কফি শপে গিয়ে সময় কাটাতে পারেন।



৪) যেসব ব্যাপার আপনাকে হস্তমৈথুনের দিকে ধাবিত করে, সেগুলো ছুড়ে ফেলুন, সেগুলো থেকে দূরে থাকুন।

যদি মাত্রাতিরিক্ত হস্তমৈথুন থেকে সত্যি সত্য মুক্তি পেতে চান তাহলে পর্ণ মুভি বা চটির কালেকশন থাকলে সেগুলো এক্ষুনি নষ্ট করে ফেলুন। পুড়িয়ে বা ছিড়ে ফেলুন। হার্ডড্রাইব বা মেমরি থেকে এক্ষুনি ডিলিট করে দিন। ইন্টারনেট ব্যবহারের আগে ব্রাউজারে প্যারেন্টাল কন্ট্রোল-এ গিয়ে এডাল্ট কন্টেন্ট ব্লক করে দিন।

কোন শারীরিক মিলন টয় থাকলে এক্ষুনি গার্বেজ করে দিন।



৫) ধৈর্য ধরতে হবে। একদিনের একটা নেশা থেকে মুক্ত পাবেন, এমন হবে না। একাগ্রতা থাকলে ধীরে ধীরে যে কোন নেশা থেকেই বের হয়ে আসা যায়। মাঝে মাঝে ভুল হয়ে যাবে। তখন হতাশ হয়ে সব ছেড়ে দেবেন না। ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে আবার আগাতে হবে।

ভালো কাজ করলে নিজেকে নিজে নিজে পুরস্কৃত করবেন। ভালো কোন জায়গাত ঘুরতে যাবেন। ভালো কোন রেস্টুরেন্টে গিয়ে খেয়ে আসবেন। নিজেকে ছোট ছোট গিফট কিনে দেবেন এবং সেগুলো চোখের সামনে রাখবেন এবং মনে করবেন যে অমুক ভালো কাজের জন্য এই জিনিসটা পেয়েছিলেন।



৬) আপনি যদি মুসলিম হয়ে থাকেন তাহলে আপনাকে অবশ্যই বিশ্বাস করতে হবে যে কবিরা গুনাহের মধ্যে অন্যতম হলো হস্তমৈথুন এবং কিয়ামতের দিনে শাস্তি হবে ভয়াবহ কেয়ামতের দিন আল্লাহ তা'আলা হস্তমৈথুনকারীকে বলবেন এই সকল শুক্রানুদের প্রাণ দাও তাদেরকে তুমি নিজের খায়েশ পূরণের জন্য ধ্বংস করেছ। তাই এসব গুনাহের কাজ থেকে বিরত থাকতে হবে।



হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায় কি?


৭) বিয়ে :  বিয়ে ব্যতীত হস্তমৈথুনের অন্য কোন 'Quick Cure' নেই। বলা যায় বিয়েই একমাত্র উপায় যা কিনা একজন পুরুষকে হস্তমৈথুনের নেশা থেকে পুরোপুরি মুক্তি দিতে সক্ষম। ইসলাম আমাদের বিয়ে করার উৎসাহ দিয়েছে এবং হস্তমৈথুনসহ সকল বিকৃত যৌনাচারের বিরুদ্ধে দমনমূলক ব্যবস্থা নিয়েছে।


ইসলামী সমাজ বিয়েকে সহজ করে তুলে আর পুঁজিবাদী সমাজ বিয়েকে করে তুলে কঠিন যা আমরা আমাদের সমাজে দেখতে পাচ্ছি। বিয়ে কঠিন হয়ে যাওয়ায় সমাজে অশ্লীলতা বৃদ্ধি পায় ও হস্তমৈথুনসহ বিকৃত যৌনাচারের প্রসার ঘটে



৮) নিয়মিত স্বলাত আদায়:

ইসলাম প্রাকটিস করা ছাড়া এই নেশা থেকে মুক্তি পাবার পসিভিলিটি খুবই কম । ইসলাম প্রাকটিস করতে হলে অবশ্যই আপনাকে নিয়মিত স্বলাত আদায় করতে হবে। আর স্বলাতের ফাযীলতগুলোর মধ্য একটি হল যে স্বলাত অশ্লীল কাজ থেকে মানুষকে বিরত রাখে।


মহান আল্লাহ্‌ বলেন--

" নিশ্চয়ই স্বলাত অশ্লীল ও মন্দ কাজ থেকে বিরত রাখে। " [সূরা আনকাবূত, আয়াত-৪৫ ]


হস্তমৈথুন অবশ্যই একটা Erotic Act তাই নিয়মিত যত্নের সাথে স্বলাত আদায় করলে অবশ্যই আপনি এই অশ্লীল কাজ থেকে বিরত থাকতে সক্ষম হবেন। বিস্তারিত জানার জন্য আয়াতটির তাফসীর দেখে নিবেন।



৯)  কোন কোন সময় হস্তমৈথুন বেশি করেন, সেই সময়গুলো চিহ্নিত করুন। সে সময়গুলোর ব্যাপারে আল্লাহকে ভয় করুন।

বাথরুম বা ঘুমাতে যাওয়ার আগে যদি উত্তেজিত থাকেন, বা হঠাৎ কোন সময়ে যদি এমন ইচ্ছে হয়, তাহলে সাথে সাথে কোন কাজে ব্যস্ত হয়ে যান।

গোসল করার সময় এমন ইচ্ছে জাগলে শুধু ঠাণ্ডা পানি ব্যবহার করুন এবং দ্রুত গোসল ছেড়ে বাথরুম থেকে বের হয়ে আসুন।



হস্ত মৈথুন থেকে বাঁচার উপায়:



১০) প্রথমে এ কবিরা গুনাহ থেকে তাওবা করুন। কারণ, যদি সীমালংঘনকারী সত্যিকার অর্থে দৃঢ়চিত্তে তাওবা করে, তাহলে আল্লাহ তাআলা তার তাওবা কবুল করেন এবং তাকে ক্ষমা করে দেন। আল্লাহ তাআলা বলেন,


إِلَّا مَن تَابَ وَآمَنَ وَعَمِلَ عَمَلًا صَالِحًا فَأُوْلَئِكَ يُبَدِّلُ اللَّهُ سَيِّئَاتِهِمْ حَسَنَاتٍ وَكَانَ اللَّهُ غَفُورًارَّحِيمًا


তবে যে তাওবা করে ঈমান আনে এবং সৎকর্ম করে। পরিণামে আল্লাহ তাদের পাপগুলোকে পুণ্য দ্বারা পরিবর্তন করে দেবেন। আল্লাহ অতীব ক্ষমাশীল, পরম দয়ালু। (সূরা আল ফুরকান ৭০)

Md. Bisshas Prodhan

Hello! My name is Md. Bisshas Prodhan. I am a student and sometimes I was writing blog. My site newsroms24.blogspot.com . If you want a professional content writer please contact me.

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন

নবীনতর পূর্বতন

ad