মোটা হওয়ার সহজ উপায় কি কি? দ্রুত মোটা হওয়ার সহজ উপায়- All Social Education
বেশি তেল দেয়া খাবার: যে সকল খাবারে তেল বেশি দিয়ে রান্না করা হয় এমন খাবার বেশি গ্রহন করুন অথবা নিয়মিত খাবারগুলো খান সেগুলো রান্না করার সময় তেল একটু বেশি দিন । তেল জাতীয় খাবার শরীরকে দ্রুত মোটা করে তুলে। গরুর মাংস: যদি মোটা হতে চান তবে বেশি করে গরুর মাংস খান । বেশি পরিমানে গরুর মাংস খাওয়াও একটি মোটা হওয়ার টিপস ।
আরও পড়ুন...
মোটা হওয়ার উপায় ১০ টি
(১) ব্যায়াম করা
অনেকেই ভেবে থাকেন ওজন কমাতেই ব্যায়াম প্রয়োজন, কিন্তু এই ধারণা মোটেও ঠিক না। ওজন কমাতে যেমন ব্যায়াম প্রয়োজন ঠিক তেমনি ওজন বাড়াতেও ব্যায়াম করা খুবই প্রয়োজন। এক্ষেত্রে শুধু দৌড় ঝাঁপই যথেষ্ট না। দরকার প্রতিদিন নিয়ম করে জিম করা। জিমে অভিজ্ঞ ট্রেইনার থাকেন। আপনার ওজন এবং চেহারা দেখে তিনিই আপনাকে বলে দিবেন কোন ব্যায়াম আপনার করতে হবে।
(২) বার বার খাবার গ্রহণ
বার বার খাবার গ্রহণ প্রতিটি মানুষেরই করা উচিৎ। প্রতি ২ ঘন্টা অন্তর অন্তর অল্প করে কিছু খেতে হবে। কিন্তু যারা ওজন বৃদ্ধি করতে চাচ্ছেন তারা ২ ঘন্টা পর পর বেশি করে খেতে হবে। এসময় আপনি দুধ, দই, ফল, ছানা ইত্যাদি দিয়েই পূরণ করতে পারেন। এতে আপনার শরীরে পুষ্টির পাশাপাশি ওজনও বৃদ্ধি পাবে। এটি মোটা হওয়ার সবচেয়ে সহজ উপায়।
মোটা হওয়ার বিজ্ঞানসম্মত উপায়
৩. বেশি ক্যালোরি গ্রহন
ওজন কমানোর ক্ষেত্রে আমরা বেশি ক্যালোরি বার্ন করি এবং কম ক্যালোরি গ্রহণ করি। কিন্তু এই ক্ষেত্রে উলটা হবে যতটুকু ক্যালোরি বার্ন করবেন তার দ্বিগুণ ক্যালোরি গ্রহণ করতে হবে। ওজন বৃদ্ধির জন্য শরীরের চাহিদার তুলনায় বেশি ক্যালোরি নিন। ওজন দ্রুত বৃদ্ধি করতে চাইলে দিনে ৬০০-৭০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে আর যদি ওজন আস্তে আস্তে বাড়াতে চান তাহলে প্রতিদিন ৪০০-৫০০ ক্যালোরি বেশি গ্রহণ করতে হবে। এভাবে এক সপ্তাহ করলেই আপনার ওজন বৃদ্ধি পাবে।
৪. কিসমিসঃ এই কিসমিস সুস্থ উপায়ে আপনার দেহের ওজন বাড়াতে সাহায্য করে। কারণ কিসমিসে আছে প্রচুর ফ্রুক্টোজ, গ্লুকোয ও পোটেনশিয়াল এনার্জি। এ জন্যই বডি বিল্ডার বা অ্যাথলিটদের ক্ষেত্রে কিসমিস খেতে বলা হয়। তাদের প্রচুর এনার্জি লাগে যা কিসমিস অনেকটা পুরন করে।ওজন বাড়ানোর জন্য কিসমিস খেলে সুস্থভাবে ওজন বাড়তেও সাহায্য পাওয়া যায়। এটি মোটা হওয়ার সহজ উপায় এর মাঝে অন্যতম উপায়।
মোটা হওয়ার ৭টি সহজ ও কার্যকরী উপায়
৫. গরুর মাংস: যদি মোটা হতে চান তবে বেশি করে গরুর মাংস খান । বেশি পরিমানে গরুর মাংস খাওয়াও একটি মোটা হওয়ার টিপস । দ্রুত মোটা হতে চাইলে নিয়মিত বেশি পরিমানে গরুর মাংস খান । এটি আপনাকে দ্রুত মোটা হতে সাহায্য করবে।
৬. কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাদ্য গ্রহন: ওজন বৃদ্ধি করতে কার্বোহাইড্রেড গ্রহন খুবই প্রয়োজন। ওজন বাড়াতে চাইলে খাবারের তালিকায় কার্বোহাইড্রেড অবশ্যই রাখবেন। ভাত, রুটি,গম কার্বোহাইড্রেডের প্রধান উৎস। তাই প্রতিদিন অন্তত ৩ বার কার্বোহাইড্রেড খাবেন।
মাত্র ১ মাসে মোটা হওয়ার উপায়
৭. ডিম: এটি ওজন বাড়ানোর জন্য ভরসাযোগ্য একটি উপাদান। এতে বর্তমান ফ্যাট, প্রোটিন ও গুড ক্যালোরি দেহের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তাই ৩-৪টি ডিমের সাদা অংশ খান প্রতিদিন। তবে কাঁচা ডিম খাবেন না। সেদ্ধ করা ডিমের সাদা অংশই খাওয়া উচিত।
৮. ড্রাই ফ্রুটস: ড্রাই ফ্রুটস আদর্শ খাবার মোটা হওয়া বা ওজন বাড়ানোর জন্য। এতে ক্যালোরির মাত্রা অনেক বেশি। তাই কাজু, কিশমিশ, খেজুর ও আমন্ড খেলে মোটা হওয়ার ইচ্ছা খুব তাড়াতাড়ি পূরণ হবে। ব্রেকফাস্টের সাথে ১০-১২টি আমন্ড বা কাজু, কিশমিশ বা খেজুর খেতে পারেন। খাওয়ার আগে রাতে ১-২ কাপ পানিতে ভিজিয়ে রেখে সকালে খাওয়া ভালো। দিনে অন্তত ৩ বার খেলে তাড়াতাড়ি ফল পাবেন।
৯. পি-নাট বাটার: পি-নাট বাটার হাই ক্যালোরিযুক্ত একটি খাবার। প্রতিদিন একবার করে রুটি বা বিস্কুটের সাথে পি-নাট বাটার খান। তবে পেট বাঁচিয়ে। এতে খুব তাড়াতাড়ি ওজন বাড়ে। তাই তাড়াতাড়ি ওজন বাড়াতে চাইলে কিনে ফেলুন পি-নাট বাটার।
মোটা হওয়ার উপায় ঘরোয়া টিপস
১০. আলু
আলু খুবই সাধারন একটি খাবার হলেও স্বাস্থ্যের জন্য এটি অত্যন্ত ভালো। প্রতিদিন প্রায় সবাই কম বেশি আলু খেয়ে থাকে। আলু একটি ফ্যাট জাতীয় খাদ্য যা শরীর দ্রুত মোটা করতে সাহায্য করে। তাছাড়াও আলুতে রয়েছে কার্বোহাইড্রেট এবং কমপ্লেক্স সুগার যা আপনাকে দ্রুত মোটা করতে এবং ওজন বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। মোটা হওয়ার খাবার।
১১. কাচা ছোলা
কাঁচা ছোলা খুবই পুষ্টি সমৃদ্ধ একটি খাবার। কাঁচা ছোলায় মাছ-মাংসের চেয়েও বেশি প্রোটিন এবং পুষ্টিসমৃদ্ধ উপাদান রয়েছে। এবং প্রচুর পরিমাণে ক্যালোরি রয়েছে। আপনার স্বাস্থ্য দ্রুত উন্নত করার জন্য নিয়মিত কাঁচা ছোলা খেতে একদমই ভুল করবেন না।
দ্রুত মোটা হওয়ার সহজ উপায়
কিছু বদঅভ্যাস ত্যাগ
অনেকেরই সিগারেট এবং ড্রিংস এর নেশা রয়েছে শরীর মোটা করতে এবং সুস্বাস্থ্যবান থাকতে চাইলে অবশ্যই সকল প্রকার নেশাদ্রব্য ত্যাগ করতে হবে। পাশাপাশি বাহিরের ফাস্টফুড জাতীয় খাদ্য একদমই পরিহার করতে হবে।
এছাড়াও অতিরিক্ত সময় ধরে স্মার্টফোন এবং ল্যাপটপ ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকবেন। আর অবশ্যই স্বাস্থ্যের প্রতি যত্নশীল হবে। কারণ স্বাস্থ্য ভালো থাকলে খুবই সুন্দর অনুভূতি থাকে। যা স্বাস্থ্য ভালো না থাকলে কখনোই বোঝা তো দূরের কথা কল্পনাও করা সম্ভব হয় না।
Copyright ©️ All Social Education