উদাহরণসহ সমাস নির্ণয়ের সহজ উপায় || ব্যাসবাক্যসহ সমাস নির্ণয় || Somas nirnoy || সমাস কাকে বলে?
সমাস
সমাস কাকে বলে?
বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।
বাংলা ভাষায় যে সকল প্রক্রিয়ায় নতুন পদ বা শব্দ তৈরি হয় সমাস তার একটি। সমাসের রীতি সংস্কৃত থেকে বাংলায় এসেছে। যেমন: দোয়াত ও কলম =দোয়াতকলম।
সমাস মানে হচ্ছে বড় বড় যে পদগুলো আছে সেগুলোকে সংক্ষেপ করে ফেলা বা একপদে করা। ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয়
•এককথায় সমাস মানে সংক্ষিপ্ত করা।
যেমন : -সিংহ চিহ্নিত আসন = সিংহাসন
•সমস্যমান পদ
সমস্তপদের যে পদগুলো সমাস এর মধ্যে পাওয়া যায় তাকে সমস্যমান পদ বলে।
•সমাসের মৌলিক অংশ ৫টি। যথা:
১৷ ব্যাসবাক্য
২। সমস্তপদ
৩। পূর্বপদ
৪। পরপদ/উত্তরপদ
৫। সমস্যমান পদ।
•সমাসের প্রকারভেদ ৬ প্রকার। যথা:
১। দ্বন্দ্ব সমাস
২। দ্বিগু সমাস
৩। কর্মধারয় সমাস
৪। তৎপুরুষ সমাস
৫। অব্যয়ীভাব সমাস
৬। বহুরীহি সমাস
ব্যাসবাক্য সহ সমাস নির্ণয়:
১) দ্বন্দ্ব সমাস
#দ্বন্দ্ব মানে মিলন (সমাসের ক্ষেত্রে)
দ্বন্দ্ব সমাসে (-) হাইফেন থাকবে এবং উভয় পদ একই রকম থাকবে এবং দ্বন্দ্ব সমাসে সবসময় উভয় পদের অর্থের প্রাধান্য পাবে।
যেমন: মাতা ও পিতা = মাতা-পিতা
২) দ্বিগু সমাস:
দ্বিগু বলতে সবার আগে আমাদের মাথায় আসে ‘সংখ্যা। কিন্তু মাথায় রাখতে হবে সংখ্যা হলেই সেটি দ্বিগু হয় না।
সংখ্যার সাথে সমাহার/সমষ্টি থাকে তাহলে সেটি দ্বিগু সমাস।
৩) কর্মধারয়:
কর্মধারায় সমাস ৫ প্রকার।
১।উপমান (বাস্তব)
২।উপমিত (অবাস্তব)
৩।রূপক (অবাস্তব)
৪। মধ্যপদলোপি
৫। সাধারণ কর্মধারায়
উদাহরণ: মহা যে কবি = মহাকবি
৪) তৎপুরুষ সমাস
১) ২য়া- কে রে ব্যাপীয়া (কর্ম)
উদাহরণ: দুঃখকে প্রাপ্ত = দুঃখপ্রাপ্ত
চিরকাল ব্যাপীয়া সুখী=চিরসুখী
২) ৩য়া- দ্বারা দিয়ে কর্তৃক (করন)
উদাহরণ: মন দিয়ে গড়া= মনগড়া
৩) ৪র্থী- কে, রে জন্য (সম্প্রদান)
উদাহরণ: গুরুকে ভক্তি = গুরুভক্তি
৪) ৫মী- হতে, থেকে, চেয়ে (অপাদান)
উদাহরণ: বিলাত থেকে ফেরত= বিলাত বাতফেরত
৫) ৬ষ্ঠী-র এর
উদাহরণ: চায়ের= চা বাগান
৬) ৭মী-এয়, তে (অধিকরণ)
উদাহরণ: দিবায় নিদ্রা= দিবানিদ্রা
#অলুক তৎপুরুষ সমাস
অলুক মানে বিভক্তি লোপ পাবেনা। মনের মানুষ, সাপের পা
যদি বিভক্তি বাদ পরে যায় তাহলে সেটি ৬ষ্ঠা তৎপুরুষ আর যদি বিভক্তি বাদ পরে না যায় তাহলে সেটি অলুক ৬ষ্ঠী তৎপুরুষ।
#নঞ (নাবোধক)
নক্র তৎপুরুষের ক্ষেত্রে সবকিছু না বোধক হবে না। না, নেই, নাই, ন, নয় যখন ব্যাসবাক্যে থাকবে তখন নজ্ঞ হবে।
উদাহরণ: নয় কাল = অকাল
৫) অব্যয়ীভাব সমাস
প্উপভাষা মূল শব্দের শুরুতে অতিরিক্ত যোগ থাকলে হবে উপসর্গ। আর প্রত্যেক উপসর্গই অব্যয়।
উপসর্গ + যথা= অব্যয়ীভাব
উদাহরণ: যথারীতি
৬) বহুব্রীহি সমাস
বহুব্রীহি সমাস ২ প্রকার । সাধারণ বহুব্রীহি ও ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস।
#All Social Education
নীলকণ্ঠ = Adj+N = সমানাধিকরণ
বিশ্লেষণ বিশেষ্য
সমস্তপদে যদি বিশেষণ+ বিশেষ্য থাকে তাহলে সমানাধিকরণ।
‘আশীবিষ = N+N = ব্যধিকরন দ্ৰ সমস্তপদেষ
যদি বিশেষ্য। বিশেষ্য থাকে তাহলেসেটি ব্যার্বিকরণ।
#ব্যতিহার বহুব্রীহি সমাস
পূর্বপদে সবসময় 'ণ' থাকবে এবং পরপদে ি থাকবে তাহলে সেটি ব্যতিহার বহুব্রীহি।
কানাকানি, মারামারি ।
সমাসের কিছু সাধারণ প্রশ্ন:
১) সমাস কত প্রকার?
উত্তর: সমাস ৬ প্রকার।
২) সমাসের মৌলিক অংশ কয়টি?
উত্তর: সমাসের মৌলিক অংশ ৫ টি।
৩) সমাস কাকে বলে?
উত্তর: বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত অর্থসম্বন্ধযুক্ত একাধিক পদের একটি পদে পরিণত হওয়ার প্রক্রিয়াকে সমাস বলে।